গত রাতে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর। ফাইনালের মহারণে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচজুড়ে একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে ৩৬ বছর পর শিরোপার স্বাদ পেল দেশটি। এর মাধ্যমে যেন পূর্ণতা পেল মেসির ঐশ্বর্যমণ্ডিত ক্যারিয়ার।
কাল মেসির হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার আগে তাকে পরিয়ে দেওয়া হয় কালো ও সোনালী রঙের জোব্বা। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ এটি মেসিকে পরিয়ে দেন। এর আগে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। ফলে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক- এমন জোব্বা পরিয়ে দেওয়ার কারণ কি?
কাতার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়ায় বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়েছে এই বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে মদ্যপান, অবৈধ সহবাস ও খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ ছিল। কাতার বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। ফলে তারা আয়োজন রাঙিয়ে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি। এমনকি আয়োজনে বিভিন্ন সময় তারা দেশের ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর সামনে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। মেসিকে সম্মানস্বরূপ জোব্বা পরিয়ে দেওয়া দেশটির ঐতিহ্যেরই অংশ।
কাতারের সংস্কৃতি অনুযায়ী সাধারণত এ ধরনের পোশাক পরেন মন্ত্রী পর্যায়ে অথবা রাজ পরিবারের প্রধান ব্যক্তিরা। স্থানীয় ভাষায় এর নাম ‘বিস্ত’। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ মারুফ এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, কাতারের সংস্কৃতি অনুসারে কাউকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে বিস্ত পরানো হয়। বিশ্বকাপ জেতার কারণে মেসিকে সম্মান করে কাতারের আমির এ পোশাক পরিয়েছেন।
উটের লোম এবং ছাগলের পশম দিয়ে তৈরি হয় বিশেষ এই কাপড়ের পোশাক। কাতারের আমির মেসিকে যখন এই পোশাক পরিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও দাঁড়ানো ছিলেন।
পাঠকের মতামত